পহেলা ফাল্গুনে জন্মনিবন্ধন সনদের সাথে এলাকার নাগরিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা উপহার তুলে দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন কক্সবাজারের এক ইউপি চেয়ারম্যান। যা অন্য চেয়ারম্যানদের বেলায় সাধারণত চোখে পড়েনি। ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন সেই তরুণ জনপ্রতিনিধি।
এই জনপ্রতিনিধির নাম ইমরুল কায়েস চৌধুরী। যিনি উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র দু'মাস আগে। এরপর থেকে বেশকিছু মানবিক কাজ করে আলোচনায় আছেন তিনি।
চেয়ারম্যান ইমরুল জানান, পিতা উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাজনীতিবীদ মাহমুদুল হক চৌধুরীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি মানুষের জন্য কাজ করছেন। পাশাপাশি তার মরহুম নানা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বরেণ্য সাংবাদিক মরহুম মোহাম্মদ নুরুল ইসলামও ছিলেন একজন সফল চেয়ারম্যান। সে কারণে মূলত পারিবারিকভাবে মানবসেবা তার রক্তে মিশে আছে।
চেয়ারম্যান বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে নানা প্রতিবন্ধকতায় অনেকটা সোনার হরিণ হয়ে ওঠা জন্মনিবন্ধন এখন নিজ হাতে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ কাজের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ।
এদিকে হঠাৎ এলাকায় ফুল আর জন্মনিবন্ধন হাতে চেয়ারম্যানকে পেয়ে বিস্মিত সাধারণ মানুষ। ফাল্গুনের প্রথম দিনে টকটকে লাল গোলাপ আর জন্মনিবন্ধন নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
হলদিয়াপালংয়ের বাসিন্দা কফিল উদ্দিন সিকদার জানিয়েছেন, পহেলা ফাল্গুনে চেয়ারম্যান নিজে ফুল আর জন্মনিবন্ধন নিয়ে আমার কাছে আসবে কখনও কল্পনাই করিনি। জনগণের জন্য নতুন চেয়ারম্যানের এই ভালোবাসার দেশের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সরোয়ার কামাল বাদশা বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী একহাতে গোলাপ আরেক হাতে ৩শ জন্মনিবন্ধন নিয়ে এলাকায় আসেন। তিনিও একে দেখছেন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবেই।
চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব হলো জনগণকে ভালোবাসা, জনগণের সেবা করা। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসটি ইউনিয়নের জনগণের সাথে পালন করতে পেরে নিজেও বেশ আনন্দিত বলে চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান।